সোনারগাঁয় থেকে অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ সন্ত্রাসী ‘মোমেন বাহিনী’র প্রধান সাব্বির হোসেন মোমেন ওরুফে টাইগার মোমেন (৩১) ও তার সহযোগী মো. বুলবুল ভূঁইয়া (৩৭) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১’র একটি আভিযানিক দল।

উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলি ও মাদকের মধ্যে রয়েছে- ম্যাগাজিন ভর্তি ১টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড তাজা গুলি, ২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১ লিটার বাংলা মদ। এছাড়াও মাদক বিক্রয়ের নগদ ১০ হাজার টাকা ও ৩ টি মোবাইল ফোন জব্দ করে র‌্যাব।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ওলামানগর এলাকা হতে মোমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মোমেন হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকসহ প্রায় ডজন খানেক মামলার আসামী।

র‌্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, পিপিএম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, পিপিএম উল্লেখ করেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সংযোগস্থল কাঁচপুর এলাকায় মাদক ব্যবসা, তেলচুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত শতাধিক দুস্কৃতিকারীদের সমন্বয়ে মোমেন এর নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে যা এলাকায় ‘মোমেন বাহিনী’ নামে পরিচিত।

এলাকার মূর্তিমান আতঙ্কের নাম এই ‘মোমেন বাহিনী’। এই বাহিনীর ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই সন্ত্রাসী বাহিনী গাড়ি হতে জ¦ালানী তেল চুরি, পরিবহনে ছিনতাই ও ডাকাতি এবং মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত।

‘মোমেন বাহিনী’র প্রধান সাব্বির হোসেন মোমেন ওরুফে টাইগার মোমেন নিজেকে কখনও র‌্যাব আবার কখনও পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে তার অপরাপর সহযোগীদের যোগসাজশে অভিনব কৌশলে মহাসড়কে ছিনতাই ও ডাকাতি করে।

হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকসহ প্রায় ডজনখানেক মামলার আসামী ধূর্ত অপরাধী মোমেনকে নিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় অনুসন্ধানীমূলক রিপোর্ট হয়।

উক্ত অনুসন্ধানী রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল কাঁচপুর এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘মোমেন বাহিনী’র প্রধান সাব্বির হোসেন মোমেন ওরুফে টাইগার মোমেনসহ তার অন্যান্য সহযোগীদের উপর কঠোর গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে।

পরবর্তীতে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ওই মাদক ও বিদেশী পিস্তলসহ তাদের হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।